গত ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী বিক্ষোভ থেকে শুরু হয় হেফাজতের নাশকতা। যা পরে দেশের কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
পরে চলতি মাসের শুরু থেকে বিভিন্ন মামলায় আটক করা হয় হেফাজতের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে। ডিবি মামলাগুলোর তদন্তের ভার পাওয়ার পর রিমান্ডে আনা হয় সবাইকে। আর জিজ্ঞাসাবাসে ওঠে আসে নাশকতা পরিকল্পনার নানা তথ্য।
হেফাজতের নেতারা মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেয়া অনুদানের টাকা নাশকতার কাজে ব্যবহার করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তাদের যে ফান্ড দরকার হয় সেই ফান্ড আসে মাদ্রাসা থেকে। যে টাকাগুলো খরচ হয় তার সঠিক হিসাব তাদের কাছে নাই। আমরা পেয়েছে, বেশকিছু টাকা চট্টগ্রাম ও ব্রাক্ষণবাড়ীয়াতে অ্যাকাউন্ট থেকে গিয়েছে।’
দেশে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন বিশ্ব ইজতেমা এবং তাবলীগ জামাতে ভাঙনের আড়ালেও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ভূমিকা রয়েছে। পুলিশের দাবি, রিমান্ডে এমনটাই জানিয়েছেন আটক নেতারা।
মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ‘তাবলীগ জামাত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে, এই ভাঙনের পেছনে তাদের হাত ছিলো। পরিকল্পিত উদ্দেশ্যের মাধ্যমেই এ অরাজনৈতিক সংগঠনকে আরো কিছুু ফেভারে নেয়ার জন্য তাবলীগ জামাতকে তারা ভেঙেছে।’
হেফাজতের নাশকতার ঘটনায় বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামের অনেক নেতার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। জীবিত সবাইকে আসামি করেই চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।