বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমাকেও মেরে ফেলুন, বাবা-মা একবারেই কষ্ট পাবে : আবরারের ভাই

আমাকেও মেরে ফেলুন, বাবা-মা একবারেই কষ্ট পাবে : আবরারের ভাই

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে মারধর করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফায়াজ।

বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

সেখানে ভিসিকে বাধা দেয় গ্রামবাসী। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজকে Additional SP (উনি বলেন ওনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পান আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবিকে মারছেন? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেন আপনারা? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটের মধ্যে জানাজা শেষ করতে বলেছেন কীভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে, আপনার আরেক ছেলে ঢাকা থাকে, আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক। আজ বলেছেন কেউ কিছু করলে এক সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই, আমি বিচার চাই…নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুয়েট ভিসি আবরারের কবর জিয়ারত করতে পেরেছেন। তবে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। আবরারের ভাই ও বাবার প্রশ্নবানে জর্জরিত হন উপাচার্য। তাদের জিজ্ঞাসা ছিল, উপাচার্য কেন ওই হত্যাকাণ্ডের পরপর সেখানে উপস্থিত হননি। এখন কেন এসেছেন?

এ অবস্থায় আবরারের বাড়িতে ঢোকার সময় উপাচার্যকে বাধা দেয় গ্রামবাসী। আবরারের বাড়ি ঢোকার মুখে ভিসির গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন নারীরা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজসহ পাঁচজন আহত হন।

আবরারের ভাই ফায়াজকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ঘটনাস্থলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানকার অনেকের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।

রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশপাশ এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।

গত রোববার রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech