নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ছয়দিন বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে লঞ্চে যাতায়াত করা যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। গতকাল বুধবার দুপুরের পর লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরোপুরিভাবে এ রুটে লঞ্চ চলাচল করছে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে এ রুটে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
এদিকে তীব্র স্রোতে এ রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেরিঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে কয়েকশ যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। এর মধ্যে বাসগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ও ট্রাকগুলোকে দিনের পর দিন সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে।
অপরদিকে দৌলতদিয়ায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৯ দিনের ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ফেরি ঘাটসহ শতশত বসতবাড়ি ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটসহ বহু বসতবাড়ি ও স্থাপনা। ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬টি ফেরি ঘাটের ৪টি ঘাট বন্ধ রয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সড়কে অপেক্ষারত চালকরা বলেন, দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে থাকায় ভোগান্তির শেষ নাই। বিশেষ করে বাথরুম করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
ঢাকামুখী বাসের যাত্রী খালিদ জানান, তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে কিছু দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাটের যে অবস্থার কথা শুনছেন, তাতে ঢাকায় যাওয়া বড় কষ্টের। তারপরও যেতে হবে তাই যাচ্ছেন।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপার ভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, স্রোতের তীব্রতা কিছুটা কমায় এ রুটে চলাচলরত বড় এমভি লঞ্চগুলো চলাচল শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) রুহুল আমিন জানান, তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভাঙন ও ভাঙন ঝুঁকির কারণে ৬টি ঘাটের ৪টি বন্ধ রয়েছে। ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।