আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গাজীপুর বন্দর সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মোঃ ফোরকান মুসুল্লীকে প্রতিবেশী মোতালেব মৃধা ও তার লোকজন কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহত ফোরকানকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিকে গাজীপুর বন্দরে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পরপর মোতালেব মৃধা ও তার লোকজন পালিয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার গাজীপুর বন্দরের মাওলানা ফোরকার মুসুল্লীর ১০ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমির ৫ শতাংশ প্রতিবেশী মোতালেক মৃধা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ নিয়ে গত ৫ বছর ধরে তাদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। গত একমাস পুর্বে মোতালেব মৃধা মাওলানা ফোরকান মুসুল্লীর বাসার সামনে ইট স্তুপ করে রাখেন। শুক্রবার দুপুরে মাওলানা ফোরকান ওই ইট মোতালেব মৃধাকে সরিয়ে নিতে বলেন। এ নিয়ে মাওলানা ফোরকান ও মোতালেব মৃধার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তাৎক্ষনিক স্থানীয় কাওসার হাওলাদার, হাজী রুহুল আমিন, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ও জুয়েল গাজী সালিস বৈঠকের মাধ্যমে আগামী সোমবার বিষয়টি মিমাংশার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মোতাবেল মৃধা ও তার লোকজন এসে শান্ত হয়নি। এক পর্যায় মোতালেব মৃধার ছেলে মিঠু মৃধা, নাতি সাকিল ও ভাইয়ের ছেলে শাহীন মৃধাসহ ৮-১০ জন দেশীয় ধারালো অন্ত্র দিয়ে মাওলানা ফোরকানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ভয়ে মাওলানা ফোরকানকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। ফোরকানকে কুপিয়ে তারা বীর দর্পে স্থান ত্যাগ করে এমন দাবী প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফোরকান মুসুল্লীর বাম হাত, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পরপর মোতালেব মৃধা ও তার লোকজন পালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মোতালেব মৃধার ছেলে মিঠু মৃধা, নাতি সাকিব ও ভাইয়ের ছেলে শাহীন মৃধাসহ ৮-১০ জনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাওলানা ফোরকানকে কুপিয়ে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে। তাদের অস্ত্রের ভয়ে স্থানীয়রা ফোরকানকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। তারা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
গুরুতর আহত মাওলানা ফোরকান মুসুল্লীর ভাইয়ের ছেলে নাশির মুসুল্লী বলেন, মোতালেব মৃধা জোরপূর্বক আমার চাচার জমি ভোগদখল করে আসছে। ওই জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার চাচাকে মোতালেব মৃধা, তার ছেলে মিঠু মৃধা, নাতি সাকিল ও ভাইয়ের ছেলে শাহীন মৃধাসহ ৮-১০ জনে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোতালেব মৃধার মুঠোফোনে (০১৭৪৫৩৭২৫২৩) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।