আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মোমেলা বেগম নামের এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই গৃহবধুকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের খাকদান গ্রামে।
জানাগেছে, ২০১৯ সালে উপজেলার খাকদান গ্রামের মোমেলাকে দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের আব্দুল মজিদ ভান্ডারী তৃতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মোমেলাকে স্বামী মজিদ ভান্ডারী নির্যাতন করে আসছে এমন অভিযোগ মোমেলার। মঙ্গলবার রাতে মেমোরী কার্ড চুরির অভিযোগ এনে মোমেলাকে মারধর করেন মজিদ। তার মারধরে মোমেলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। একই বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে পুনরায় তাকে মারধর করে স্বামী মজিদ। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মোমেলা ওই দিন বেলা ১১ টার দিকে আত্মহত্যার লক্ষে ঘরে থাকা কীটনাশক সেবন করে। দ্রুত স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মোমেলাকে বিয়ের পর থেকেই স্বামী মজিদ ভান্ডারী বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ এনে নির্যাতন করছে।
আহত মোমেলা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার রাতে একটি মেমোরি কার্ড চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখম করেছে। বুধবার সকালে আবারো মারধর করেছে। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্বামী মজিদ ভান্ডারী মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার একটি মেমোরি কার্ড মোমেলা চুরি করেছে। ওই মেমোরি কার্ড চেয়েছি কিন্তু দেয়নি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এবিএম তানজিরুল ইসলাম বলেন, মোমেলা বিষপান করেছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে।
আমতলী থানা ওসি মোঃ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।