আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের নির্বাচনী সহিংসতায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহত ১৫ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে শনিবার রাতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালা পথসভার আয়োজন করে। ওই পথসভা শেষে নৌকার কর্মী সমর্থকরা বাড়ী ফিরছিল। এমন মুহুর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদের কর্মী সমর্থকরা নৌকার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় এমন দাবী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ দাবী করেন নৌকার কর্মী সমর্থকরা পথসভা শেষে তার বাড়ীতে হামলা করেছে। এ সময় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। অপর দিকে হলদিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক তার কর্মী সমর্থক নিয়ে সোনাউডা এলাকার শনিবার সন্ধ্যায় গণ সংযোগে গেলে নৌকার প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধার কর্মী সমর্থকরা এতে বাঁধা দেয় এবং তাদের ওপর হামলা করে এমন দাবী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টু মল্লিকের। কিন্তু আওয়ামীলীগ প্রার্থী শহীদুল ইসলাম মৃধা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ কর্মী আহত হয়েছে। আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আহত মজনু, রাসেল মৃধা, খবির গাজী, সাইদুল, মজিবর, কাদের, শফিক, নাশির, মিলন, এরশাদ, শাহিন এবং হলদিয়া ইউনিয়নের জাকির খান, মহিন, ইমরান ও পঙ্কজকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত জাকির খান, পঙ্কজ এবং রাসেল মৃধাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত রেজাউল, জাহিদ, নাঈম, জামাল মৃধা, মনা মৃধা, রাহাত আকন, ছালাম মোল্লা, রাসেল হাওলাদার ও সবুজ হাওলাদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম সাদ বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাল আলম হাওলদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।