বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

এবার দুই সেট ট্রেন একসঙ্গে জাপান থেকে দেশের পথে

এবার দুই সেট ট্রেন একসঙ্গে জাপান থেকে দেশের পথে

ইতোমধেই মেট্রোরেলের পৃথকভাবে দুই সেট ট্রেন ঢাকায় এসেছে। এবার এক সঙ্গে মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ মেট্রো ট্রেন সেট গত মঙ্গলবার (২২ জুন) জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর হতে জাহাজ যোগে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।

উভয় ট্রেন সেট মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময় জুলাই ২০২১ মাসের শেষ সপ্তাহ।

রোববার (২৭ জুন) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিএমটিসিএল জানায়, দুই সেট ট্রেন মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর পর শুল্ক ও ভ্যাট সম্পর্কিত কার্যাদি শেষে বার্জ যোগে মেট্রো ট্রেন সেট ২টি নদীপথে আগস্ট ২০২১ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকার উত্তরারা ডিএমটিসিএল ডিপোতে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধেই প্রথম মেট্রে ট্রেন সেট গত ২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখ এবং দ্বিতীয় মেট্রো ট্রেন সেট গত ০৩ জুন ২০২১ তারিখ ঢাকার উত্তরাস্থ ডিএমটিসিএল ডিপোতে এসে পৌঁছেছে।

প্রজেক্ট ম্যানেজার-সিপি-৮ (উপ-সচিব) এবি এম আরিফুর রহমান বলেন, জাপান থেকে এক সেট বা ছয়টি করে কোচ দেশে আসছে। এবার একসঙ্গে ১২টি কোচ বা দুই সেট ট্রেন দেশে আনা হচ্ছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে মোট ২৪ সেট ট্রেন দেশে আসবে। এই দুই সেট ট্রেন দেশে আসলে বাকি থাকবে এখনো ২০ সেট ট্রেন।

মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরেই কোচগুলো লাইনে তোলা হবে। এ কাজে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এ কাজের জন্য ইতালি থেকে এক ধরনের যন্ত্র আনা হয়েছে বলে জানায় ডিএমটিসিএল।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল কোচ ডিপোতে রেলওয়ে ট্র্যাকে বসিয়ে ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরে কোচ একসঙ্গে করেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করতে সক্ষম হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech