বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আমতলীতে হাফেজি মাদ্রাসার পরিচালকের অশ্লীল ছবি ভাইরাল!

আমতলীতে হাফেজি মাদ্রাসার পরিচালকের অশ্লীল ছবি ভাইরাল!

আমতলী প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের তাহফিজুল কোরান ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ আব্দুল আউয়াল ও এক নারীর অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, ২০১৯ সালে হাফেজ আব্দুল আউয়াল আমতলী পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকায় তাহফিজুল কোরান ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই মাদ্রাসায় দ্বীনি শিক্ষার উদ্দেশ্যে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করেন তিনি। পুরুষ হাফেজের পাশাপাশি নিয়োগ দেন একজন নারী হাফেজা। ওই নারী হাফেজার সাথে গড়ে তোলেন হাফেজ আব্দুল আউয়াল অনৈতিক সম্পর্ক। এ বিষয়টি মাদ্রাসার অভিভাবকসহ এলাকার মানুষের মাঝে জানাজানি হয়ে যায়। বিষয়টি সুদরে নেয়ার জন্য অভিভাবকরা হাফেজ আব্দুল আউয়ালকে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু অভিভাবক ও এলাকার লোকজনের কথায় তিনি কর্নপাত করেনি। এদিকে ওই হাফেজার সাথে হাফেজ আব্দুল আউয়ালের অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাস হয়। অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাফেজ আব্দুল আউয়ালের এমন কু-কৃতি ফাঁস হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা হাফেজ আব্দুল আউয়ালের বিচার দাবী করেছেন। অপরদিকে অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় হাফেজ আব্দুল আউয়াল ওই মাদ্রাসার আরেক হাফেজ আল আমিনকে দায়ী করেন এবং তাকে মারধর করে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
মাদ্রাসার অভিভাবক মোঃ আবু ছালেহ হাফেজ আউয়ালের শাস্তি দাবী করে বলেন, একজন হাফেজ মানুষের এমন অনৈতিক কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায়না। তিনি আরো বলেন, তার এমন কর্মকান্ডের কথা জেনে আমি আমার ছেলে ওই মাদ্রাসা থেকে নিয়ে এসেছি।
এলাকাবাসী কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, হাফেজ আব্দুল আউয়ালের কর্মকান্ড মেনে নেয়ার মত নয়। ওই মাদ্রাসায় অনেক মেয়েরা লেখাপড়া করে তারা ওই হাফেজের কাছে মোটেও নিরাপদ নয়। হাফেজ আব্দুল আউয়ালের শাস্তি দাবী করে তিনি আরো বলেন, তার কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
মাদ্রাসার হাফেজ আল আমিন বলেন, পরিচালক আব্দুল আউয়ালের অশ্লীল কর্মকান্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে আমাকে দায়ী করেন তিনি। পরে আমাকে মারধর করে বেতন ভাতা না দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আউয়াল আমাকে জীবন নাশের হুমকিসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি তার এমন কর্মকান্ডের বিচার চাই।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ আব্দুল আউয়াল ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মিমাংশা হয়ে গেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech