আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুই নারীসহ ৯ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার রায়বালা গ্রামে বুধবার সকালে।
জানাগেছে, উপজেলার রায়বালা গ্রামের জয়নাল হাওলাদার একই গ্রামের হানিফ গাজীর কাছ থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি সংলগ্ন মোস্তফা গাজীর ২০ শতাংশ জমি জয়নাল হাওলাদার জোর করে চাষাবাদ করেন এমন দাবী মোস্তফা গাজীর। ওই জমি চাষাবাদে তিনি (মোস্তফা গাজী) বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় জয়নাল হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার মোস্তফা গাজীর জামাতা জসিমকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে যখম করে। জসিমকে রক্ষায় আনোয়ার গাজী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে এমন দাবী আনোয়ার গাজীর। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত জসিম, মোস্তফা গাজী, হানিফ গাজী, মাজেদা বেগম, সোনিয়া, ইমরান, রিয়াজ ও ফিরোজকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আনোয়ার গাজীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মোস্তফা গাজী বলেন, জয়নাল হাওলাদার আমার জমি জোরপূর্বক দখল করে চাষাবাদ শুরু করেন। এতে আমি বাঁধা দিলে কয়েক দফায় আমাকে, আমার মেয়ে, আমার জামাতা ও ভাইসহ ছয়জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
জয়নাল হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার জমি দখল ও মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবার কেনা জমি আমি চাষাবাদ করতে গেলে মোস্তফা গাজী ও তার লোকজন আমার মাসহ পরিবারের চারজনকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মার্জিয়া তাজিন বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।