কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন বরিশালের রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে নগরীর বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে আজ দুই বেলায় পৃথক ৬টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও চেকপোস্টে যানবাহন নিয়ন্ত্রন করাসহ টহল অব্যাহত রেখেছে।
কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন বরিশালের রাস্তায় আগের ৩ দিনের চেয়ে মানুষ এবং যানবাহন চলাচল বেড়েছে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন মানুষ। সকালের দিকে নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামসহ সবগুলো বাজারে প্রচুর ভিড় ছিলো। বাজারে কিছু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ মানুষের মাস্ক ছিলো থুতনির নীচে। আবার মাস্ক ছাড়াও বাজারে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাকে দেখা গেছে।
সকালের দিকে নগরীর রাস্তাঘাট ছিলো রিক্সা, মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত যানের দখলে। অন্যান্য গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে রিক্সাভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। সামর্থ না থাকায় কিছু মানুষকে হেঁটে দূরদূরান্তের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।
নগরীর প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সদর রোড, চকবাজার, বাজার রোড সহ অন্যান্য এলাকায় বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে খাদ্য এবং ওষুধ সামগ্রীর দোকান। তবে পাড়া মহল্লায় এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় চায়ের দোকানে জটলা দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে আজ সকালে পৃথক ৩টি এবং দুপুরের পর পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস দাস।
অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও জোরদার টহল দিচ্ছে তারা।