বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

মঠবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর

মঠবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর ও সহ-সুপার মাওলানা আবু জাফরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে খায়ের ঘটিচোরা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আ: রহমানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য আজ মঙ্গলবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বৈঠক হবার কথা রয়েছে।

গত রোববার সহ-সুপার মাওলানা আবু জাফর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সময় তারই বড় ভাই মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আঃ রহমান তাকে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় মাওলানা আবু জাফর মঠবাড়িয়া থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসার সুপার শিক্ষক নিয়োগ, টিউশন ফি, ৫ম, ৮ম ও ৯ম রেজিষ্ট্রেশনসহ ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ অন্যান্য শিক্ষকদের জিম্মি করে অবৈধভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সহ-সুপার আবু জাফর এর প্রতিবাদ করলে ওই মাদ্রাসা সুপার পূর্ব থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে গেলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে ওই সুপার মাওলানা আঃ রহমান। বেশকয়েক বছর আগেও মাওলানা আঃ রহমান বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পায়ের নিচে ফেলে ছিড়ে ফেলেছে। যা সেই সময় স্থানীয় এক আ‘লীগ নেতা মোটা অঙ্কের বিনিময় মিলতাল করেন।

অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আ: রহমান মুঠোফেনে বলেন, ঘটনাটি আজ মিমাংসা হতে চলছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান ও সাংবাদিকের সাথে সরাসরি কথা বলার প্রস্তাব দেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান জানান, কয়েক বছর আগে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পায়ের নিচে ফেলে ছিড়ে ফেলার ঘটনা স্থানীয় এক আ‘লীগ নেতা মিমাংসা করেছিলেন। রোববার প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর অবস্থায় তিনি দেখেছেন তবে কে ভেঙেছে, তা তিনি দেখেনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন আ‘লীগ বজলুর রহমান খান নিজ উদ্যোগে মুঠোফেনে জানান, সংবাদ প্রকাশের প্রয়োজন নাই। বিষয়টি তিনি মিমাংসা করে দিবেন।

উপজেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করার ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

মঠবাড়িয়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, মারামারির ঘটনায় দুই ভাইয়ের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech