আমতলী প্রতিনিধি:
পুলিশকে ইয়ারা বিক্রির তথ্য দেয়ার সন্দেহে সুমী নামের এক নারীকে ইয়াবা বিক্রেতা মুছা ও তার স্ত্রী রুমি বেগম ইট দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের মুছা, হুমায়ুর ও পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়ার বিক্রি করে আসছে। শনিবার বিকেলে পুলিশ খবর পেয়ে ইয়াবা বিক্রেতা পারভেজকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মুছা ও হুমায়ুন পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরই ইয়াবা বিক্রেতা মুছা ও তার স্ত্রী রুমী বেগম প্রতিবেশী সুমী নামের এক নারীকে পুলিশে তথ্য দেয়ার সন্দেহ করে গালগাল করে। ওই নারী এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ইয়াবা বিক্রেতা মুছা ও তার স্ত্রী ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে দেয়। এ সময় তারা সুমীর ব্যবহৃত স¦র্নালংকার নিয়ে যায়। দ্রুত স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত সুমী বলেন, ইয়াবা বিক্রেতা পারভেজকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে আমাকে সন্দেহ করে ইয়াবা বিক্রেতা মুছা ও তার স্ত্রী আমাকে গালাগাল করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, তারা আমার ব্যবহৃত স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, আহত সুমীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত মুছা হাওলাদার মাদক বিক্রি ও মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।