আমতলী প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে এমভি ইয়াদ-১ লঞ্চ আমতলী টার্মিনাল ছেড়ে গেল । সোমবার দুপুর ১২ টায় লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে আমতলী ছেড়ে যায়। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই দেখেও ঢাকামুখী মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠছে।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব থেকে মানুষকে রক্ষায় গত ২৩ জুলাই নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। গত ১০ দিন লঞ্চ চলাচলা বন্ধ ছিল। ০১ আগষ্ট লঞ্চ নৌপথে লঞ্চ চলাচল ঘোষনা দেয় সরকার। সরকারী নির্দেশ মতে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এমভি ইয়াদ-১ লঞ্চ আমতলী টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই দেখেও ঢাকামুখী মানুষ জীবনে ঝুকি নিয়ে লঞ্চে উঠেছে। ওই লঞ্চে যাত্রী ধারন ক্ষমতা ৭০৩ জন। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ধারন ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন যাত্রী বোঝাই করে আমতলী ঘাট ছেড়ে গেছে। এরপরে পুরাকাটা, আয়লা পাতাকাটা, ভয়াং, কাকরাবুনিয়া, পায়রাকুঞ্জু পাঁচটি ঘাট রয়েছে। ওই সকল ঘাট থেকে অন্তত আরো এক হাজার যাত্রী লঞ্চে উঠেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ধারন ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন যাত্রী ওই লঞ্চটি ঢাকায় পৌছবে বলে জানান লঞ্চের যাত্রী মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও চাঁন মিয়া। এতে স্বাস্থ্যবিধি পুরাপুরো বিঘ্নিত হওয়ায় যাত্রীদের মাঝে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমবার আমতলী লঞ্চঘাট ঘুরে দেখাগেছে, এমভি ইয়াদ-১ লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ডেক বোঝাই যাত্রীতে। তিল পরিমান ফাঁকা নেই। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ঠাসাঠাসি দেখেও না দেখার ভান করছে। যাত্রীদের মাঝেও নেই কোন সামাজিক দ্রুত্ব ও স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং মাস্কও ব্যবহার করেনি। মানুষ ডেকে জায়গা না পেয়ে লঞ্চের ছাদে ও সম্মুখ্যভাগে অবস্থান করেছে। অনেক যাত্রীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী দেখেও জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষ লঞ্চে উঠে দাড়িয়ে রয়েছে।
এমভি ইয়াদ লঞ্চের সুপার ভাইজার শামিম বেশী যাত্রী নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকার নির্দেশনা অনুসারে লঞ্চে যাত্রী বহন করছি। তিনি আরো বলেন, যাত্রী কম নিতে চাইলেও পারছি না। মানুষ ঝুকি নিয়ে লঞ্চে উঠছে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুসারে লঞ্চ টার্মিনাল ছাড়তে বলা হয়েছে। ওই অনুসারে ঘাট ছেড়েছে।