বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

প্রেমের টানে বাংলাদেশে ভারতীয় গৃহবধূ, সীমান্তে উত্তেজনা

প্রেমের টানে বাংলাদেশে ভারতীয় গৃহবধূ, সীমান্তে উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক:

সিলেটের জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভারতের সীমান্তবর্তী খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূর। শনিবার খাসিয়া ওই গৃহবধূকে গোপনে দেশে নিয়ে আসেন বাংলাদেশি যুবক ফিরোজ মিয়া (৩২)।

এনিয়ে দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে গত শনিবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার এক বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রায় ২০টি গরু ভারতে নিয়ে গেছে স্থানীয় খাসিয়ারা। এনিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

জানা গেছে, ফিরোজ মিয়া উপজেলার টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা হারিছ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিবাহিত। তার সঙ্গে গত শনিবার পালিয়ে বাংলাদেশ চলে আসেন ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াইবস্তির বাসিন্দা চংকর খাসিয়া (৩১)।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুদিনের মধ্যে ভারতীয় খাসিয়া নারীকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন বিজিবি কমান্ডার। তবে ফিরোজসহ ওই নারী আত্মগোপনে থাকায় গত দুদিনে তাদের খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আব্দুন নুরকে (৪৪) ধরে নিয়ে যায়। এ সময় হাওর থেকে প্রায় ২০টি গরু ধরে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায় সশস্ত্র খাসিয়ারা।

ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশি নাগরিকসহ গরু ধরে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনসুর আহমদ ও আব্দুল হালিম।

অন্যদিকে গরু ধরে নিয়ে যাওয়া এবং নারীকে ফিরিয়ে না দেয়াকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুরের টিপরাখলা সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির বলেন, আমি ১২ অক্টোবরের ঘটনার পর বিএসএফের মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সঙ্গে আলাপ করে দুইদিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা আমলে নেয়। কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুল নুরকে ও বেশ কিছু গরু ধরে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। খাসিয়ারা যাতে আর বাংলাদেশিদের গরু ধরে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech