অনলাইন ডেস্ক:
সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে গণশপথের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে চলমান প্রায় ১০ দিনের আন্দোলনের ইতি টানলেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে বুয়েট অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিনতি। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা।
গণশপথে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রুখতে এবং ক্যাম্পাসে আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর খুন হতে না হয়, সেজন্য তারা সবাই সোচ্চার থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। ১০ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও সামনের আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখবেন।
আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চার্জশিট গঠনের পর আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করব। আমরা সামনের পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছি। শিক্ষার্থীরা আগের থেকে এখন অনেক পজিটিভ। ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নেয় তাই আমরা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।