বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বিয়ে করলেন ঝালকাঠির সেই পা হারানো লিমন

বিয়ে করলেন ঝালকাঠির সেই পা হারানো লিমন

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো সেই লিমন। যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর এলাকার সরখোলা পাড়ার জাহিদুল ইসলাম টিটোর বড় মেয়ে রাবেয়া বসরীর (১৯) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে কনের বাড়িতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে লিমন হোসেন এখন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী প্রভাষক। দশ বছর আগে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় র‌্যাবের গুলিতে পা হারিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি সে সময় সারাদেশে আলোচিত হয়েছিল।

কনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হোসেনের বাড়ি অভয়নগরের সরখোলা গ্রামে। তিনিই এ বিয়ের মধ্যস্থতা করেন। অভয়নগরের নওয়াপাড়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রাবেয়া বসরী দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড়।

 

শুক্রবার দুপুরে বাবা-মাসহ ১০ জন বরযাত্রী নিয়ে লিমন কনের বাড়িতে পৌঁছান। জুম্মার নামাজের আগেই দুই লাখ টাকা কাবিনে স্থানীয় কাজী বিয়ে পড়ান। করোনার কারণে ছোট পরিসরে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। কনে রাবেয়ার বড় চাচা আহসান হাবিব খোকন বলেন, লিমনের একটি পা নেই, তা জানার পরও তার যোগ্যতা দেখেই তার সাথে তারা মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। লিমন বলেন, বাবা-মায়ের পছন্দ করা মেয়ের সাথেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন তিনি। এজন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।

কনে রাবেয়া বসরী বলেন, জীবনযুদ্ধে জয়ী লিমন হোসেন একজন সংগ্রামী মানুষ। সবকিছু বুঝেই আমরা বিয়ে করেছি। রাবেয়ার বাবা জাহিদুল ইসলাম টিটো বলেন, মাস ছয়েক আগে ড. ফুয়াদ হোসেনের মাধ্যমে এ বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়। ছেলে-মেয়ে উভয়ের মতামতের ভিত্তিতেই এ বিয়ে হয়েছে।

লিমনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে তো মেরেই ফেলেছিল। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছে। বর-কনের নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাগানে লিমনের পায়ে গুলি করেন র‌্যাব সদস্যরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার গুলিবিদ্ধ পাটি কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব লিমনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। লিমনের মাও তার সন্তানকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এসব মামলা চলাকালীনই লিমন তার লেখাপড়া চালিয়ে যান এবং এক পর্যায়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষা সহকারী পদে যোগদান করেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সহকারী প্রভাষক হিসেবে তিনি পদোন্নতি পান।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech