কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মানে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ্য তিন হাজার ৪৯ পরিবারের সদস্যরা। আর্থিক সহায়তা ছাড়াও এসব পরিবারের একজন করে সদস্য কর্মমূখী শিক্ষার প্রশিক্ষণ পেয়ে এখন নিয়োজিত হয়েছে নানা কর্মমূখী শিক্ষায়। এ কারনে আর্থিক দৈন্যতা কেটে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের এখন হাসি ফুটে উঠেছে।
রোববার দুপুরে কলাপাড়ার বানাতিবাজার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নতুন করে শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ৫০ সদস্যকে নিয়ে টাইলস,স্যানিটারি ফিটিংস এবং পেইন্টিং বিষয়ক তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংস্থা ডরপ এর সহযোগীতায় এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্ধোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাসার। ডরপ’র ডেপুটি টিম লিডার কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান প্রিন্সের সভাপতিত্বে উদ্ধোধণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দরের সহকারী পরিচালক মুহাঃ আশরাফ উজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার বলেন, বর্তমান সময়ে টাইলস,স্যানিটারি ফিটিংস এবং পেইন্টিং বিষয়ক কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে টাইলস,স্যানিটারি ফিটিংস এবং পেইন্টিং শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সবাই নিজ যোগ্যতায় কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে বলে তিনি আশা করছেন।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দর নির্মানে ক্ষতিগ্রস্থ্য মোট চার হাজার দুইশ পরিবারকে ১০৬ টি ট্রেডে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। এসব পরিবার তাদের অধিগ্রহন করা জমির মূল্য এবং পেয়েছে আশ্রয়। সরকার এখন তাদের কর্মমূখী শিক্ষার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উন্নয়ন সংস্থা ডরপ অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে কম্পিউটার, ড্রাইভিং, গবাদিপশুর খাদ্য তৈরি, মোটরসাইকেল মেরামত, সেলাইসহ বিভিন্ন ট্রেডে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যাদের অধিকাংশই প্রশিক্ষণ শেষে এখন স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।