আমতলী প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পরেছে। দুই নারী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। গত পাঁচ দিনে ৬ জন রোগী জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্তের মধ্যে শতকরা ৩৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে। দ্রুত ডেঙ্গু মশা নিধনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনে জ্বর নিয়ে ৬ জন রোগী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। ওই ৬ জনের ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে জাকিয়া আক্তার ও লামিয়া নামের দুই নারী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। জাকিয়া বেগম গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জ্বরে আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে শতকরা বিবেচনায় ৩৩ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ কমে যাওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। এদিকে ডেঙ্গু মশা নিধনে উপজেলা প্রশাসন কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছে না এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। উপজেলা পরিষদে ফগার মেশিন থাকলেও তার কোন কার্যকারীতে নেই। দ্রুত ডেঙ্গু মশা নিধনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখাগেছে, হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫০১ নং কেবিনে চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের গৃববধু লামিয়া আক্তার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মশারী খাটিয়ে শুয়ে আছে।
গৃহবধু লামিয়া আক্তারের মা শেফালী বেগম বলেন, আমার মেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে কিছুটা সুস্থ্য আছে।
আমতলী পৌরসভা নাগরিক কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস বলেন, উপজেলা প্রশাসন ডেঙ্গ মশা নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু মশা ছড়িয়ে পরছে। সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দেয়া কঠিন হবে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিমাদ্রী রায় বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত একজনের অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়েছে। অপর একজনকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, গত পাঁচ দিনে ৬ জন রোগী জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু মশা নিধনে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু এলাকায় ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের নিবির পর্যবেক্ষনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, মশক নিধন পৌর এলাকায় পৌরসভা করে থাকেন। পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।