জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত চার ব্যক্তির হার্টে রিং বসানো হয়েছে। একই সাথে আর দুই ব্যক্তির হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের টাকায় গতকাল সোমবার তাদের এই চিকিৎসা করা হয়। এই আর্থিক সহায়তার কারণে এখন তারা সবাই সুস্থ। তাদের সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এককালীন ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।
এদিকে সরকারের আর্থিক সহায়তায় চিকিৎসা নেওয়া সাদেকুর বলেন, ‘সরকারের এ সহযোগিতা গরীবদের জন্য ভালোই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আমি দোয়া করি। উনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।’
করিমন বিবির ছেলে নুর হোসেন বলেন, ‘এতো টাকা খরচ করে আমার মায়ের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না। আমার মাকে নিয়ে এক বছর ধরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছিলাম। অনেকবার আমি আমার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমার মায়ের শরীরে পেসমেকার বাসানো হয়েছে। আমরা অনেক আনন্দিত।’
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গরীব অসহায় রোগীদের জন্য পেসমেকার, হার্টের রিং ও ভাল্ব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের টাকায় ১৫০টি পেসমেকার, ১৫০টি হার্ট রিং ও ১৫০ টি ভাল্ব কিনতে পারবো। অনুদানের টাকায় গতকাল ৪ জন রোগীর শরীরে হার্টের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের শরীরে বিনামূল্যে রিং বসানো হয়েছে। দুই দিনে আমরা ছয় জনের শরীরে এনজিও গ্রাম বা হার্ট রিং বসিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আরও দুইজনের শরীরে পেসমেকার ও তিন জনের শরীরে ভাল্ব স্থাপন করা হয়েছে। বিনামূল্যে গরীব রোগীদের এমন চিকিৎসা চলমান থাকবে।