সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিবের ছোট ছেলে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার কনিষ্ঠ ভাই শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আজ বাদ আছর অভয়দাস রোড, শহীদ কাজী আরেফ এর বাসভবনে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল,
বক্তব্য রাখেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি খন্দকার হেনা মাসুদ, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল, লতা বেগম, মারজান বেগম, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের ভাসনে এম.এ জলিল বলেন পাকিস্তানের শোষন শাসন নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশকে উন্নত পরিবেশে খুদা, দারিদ্র মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের দালাল উন্নয়নের বিরোধী ৭১-৭৫ সালের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বপরিবারে। এই হত্যায় শিশু নির্বোধ রাসেল রক্ষা পায়নি। আজকের এই সভা থেকে নির্বোধ শিশু রাসেলকে হত্যাকারী জিয়া মোস্তাকের মরনোত্তর বিচার দাবী করছি। সাথে সাথে আমরা বাঙালি জাতি যেভাবে ৭০-৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম সেই একই ভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি, মাদক, ঘুষ, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত উন্নত পরিবেশের দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তবেই স্বার্থক হবে আজকের এই আলোচনা সভার। সভা শেষে শেখ রাসেল এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।