বরিশাল:
বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের নিয়মিত প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ উদ্যোগ বিষয়ে মহিলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ১৭ নভেম্বর বুধবার বরিশাল জেলা প্রশাসকের সন্মেলনকক্ষে এসভা হয়। সভায় বরিশাল জেলা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন। বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিলারা খানম, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল লতিফ মজুমদার বক্তৃতা করেন।
সমাবেশের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর ১০ উদ্যোগ বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করেন বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের সহকারী তথ্য অফিসার লেলিন বালা। এসময় ১০ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে যে অবদান রাখছে সে বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, গনযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাহফুজা নামে এক উপকারভোগীর সাথে কথা বলেন। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে তার দারিদ্রতার অবশান ঘটান। তার স্বাবলম্বী হওয়ার ইতিহাস বলতে গিয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার দারিদ্রতা নিরসনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অবদান তুলে ধরেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন নারীর পদচারণা সর্বত্র। প্রশাসন রাজনীতি সকল ক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতার সাথে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে। নারীরা এখন পণ্য নয়। বিজয়লক্ষী নারী বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সমাজে সম্মানিত পদ অলংকৃত করেছে। নারীর এ অগ্রযাত্র অব্যাহত থাকলে নারীদের সমাজে গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১০ উদ্যোগ বিষয়ের প্রামাণ্য চিত্রে জানানো হয় এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬ হাজার ৬৮৬ টি ডিজিটাল সেবাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ ডিজিটাল সেবাদান কেন্দ্র থেকে ২৭২ ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হয়। দেশের ৯৯.৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বিগত ১ বছরে ১ কোটি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের আওতায় আসছে ২ কোটি মানুষ। দেশের সাড়ে ১৩ লক্ষ কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন ৫ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য নিচ্ছে। ৩১ প্রকার ওষধ বিনা মূল্যে প্রদান করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিকে। প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা আরো বেগবান করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিককে ৪ রুমে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ১১৯ ধরণের নিরাপত্তা ভাতা প্রদান করে আসছে সরকার।