আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ দিন ধার্য করেন। তবে এ মামলার ৬৫তম সাক্ষী র্যাব-১৫ এর তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামের জেরা এখনও শেষ হয়নি। পরবর্তী তারিখে আসামিপক্ষের অন্যান্য আইনজীবীরা জেরা করবেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। দুপুর ২টায় এক ঘণ্টার জন্য আদালত বিরতি দেন। সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত কার্যক্রমে ১৩ জন আসামির আইনজীবী জেরা সমাপ্ত করেছেন। কিন্তু ২ জনের এখনও জেরা শেষ হয়নি। অসমাপ্ত জেরা শেষ হওয়ার পর আদেশের জন্য আদালতে অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশদপ্ত জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য প্রদান এবং জেরা শেষে আর কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজন হয়না। এরপর আসামিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ আদেশের জন্য আদালতের অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২৩ আগস্ট থেকে এ মামলায় শুরু হওয়া সাক্ষ্য প্রদানে সপ্তম দফা পর্যন্ত মোট ৬৫ সাক্ষ্য প্রদান করলেন।
এর আগে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র্যাবকে।
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।