সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসাস।
এছাড়াও ওমিক্রনের প্রভাবে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও সতর্ক করেছেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা। তবে ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে এখনো কোন ব্যক্তির প্রাণহানি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। দ্রুত সংক্রমণশীল ভাইরাসটি বিদ্যমান টিকাগুলোর খুব একটা কার্যকর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে শনাক্তের পাঁচদিনের মধ্যে অন্তত ১৩টি দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। ওমিক্রনের প্রভাব, টিকার কার্যকারিতার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ১ ডিসেম্বর থেকে সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আর ওমিক্রনের কারণে ইংল্যান্ডে ফের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে, বিশ্বের অনেক দেশ সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, স্থল সীমান্ত খুলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।