গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭০ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৮৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস।
শুক্রবার (৩রা ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৫ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৮৬ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৯৫ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৩৮৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। এ সময়ে ঢাকায় ২ ও খুলনায় ১ জন মারা গেছেন। বাকি বিভাগগুলোতে কারো মৃত্যু হয়নি।
বৃহস্পতিবারও করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। আর শনাক্ত হয়েছিল ২৬১ জনের। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত কমেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।
গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।