বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ চাড়বেন তিনি।
এর আগে, কানাডা যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আটটা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন তিনি।
সদ্য সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন গত মঙ্গলবার তাঁর কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটও দায়ের হয়েছে।
অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব হারান মুরাদ হাসান। গতকাল তাঁর নাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামফলক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিমন্ত্রীর তালিকা থেকেও তার নামটি বাদ দেয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও তাঁর নাম নেই।
এদিকে, ডা. মুরাদ হাসান দেশে থাকবেন, না বিদেশে যাবেন এটা তার নিজস্ব ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ধর্ষণের হুমকি সংবলিত ফোনালাপ ফাঁস ও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যসহ নানান ইস্যুতে সমালোচিত হয়ে তোপের মুখে পড়েন মুরাদ হাসান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর গেলো মঙ্গলবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর এই বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ওই দিনই ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যান ডা. মুরাদ। এর পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি। তার ব্যাপারে আর খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছিল খুব শিগগিরই দেশ ছাড়ছেন তিনি। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই কানাডায় যাওয়ার জন্য বুধবার মুরাদ হাসানের টিকিট কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস সূত্র।