অনলাইন ডেস্ক:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে চারজন নিহতের প্রতিবাদে মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছেন না।
সংগঠনের অন্যতম নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বাধার কারণে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না পারায় তারা ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় মুসলিম ঐক্য পরিষদকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলায় চার প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র্যাব ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে চারজন নিহত হন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন।