আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আলাদা শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এ শোক জানান। বঙ্গভবনের প্রেস উইং এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
জয়নাল হাজারীর একান্ত রাজনৈতিক সহযোগী শাখাওয়াত হোসেন ভূঁঞা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে তিনি গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এ ছাড়াও প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জয়নাল হাজারী ছিলেন চিরকুমার। ফেনীর মাস্টারপাড়ায় তার একটি বাড়ি রয়েছে। তার মৃতদেহ সেখানে আনার কথা রয়েছে। মাস্টারপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করার কথা রয়েছে। তবে এখনও তার নামাজে জানাজা ও দাফন কাজের সময় জানা যায়নি।
১৯৮৪-২০০৪ পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়নাল হাজারী। ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট রাতে জয়নাল হাজারীর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন পালিয়ে আত্মগোপনে ভারতে চলে যান। ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে সব মামলা থেকে একে একে অব্যাহতি পান প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। দেড় দশক পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পদ পান তিনি।