আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দুঃখ, আমি নিজে হাতে বাচ্চাদের হাতে নতুন বই দিতে পারলাম না। তবে সেজন্য করোনাই দায়ী। করোনাকালে ছেলেমেয়েরা যেন ঘরে বসে শিক্ষা নিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছে সরকার। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে টিকা দেয়া কমর্সূচি অব্যাহত রাখা হবে, এবং সবাইকে টিকা টিতে হবে। শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের উপর জোর দিতে হবে, জোর দিতে হবে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও।
তিনি আরও বলেন, যারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, তারাও যেন পিছিয়ে না থাক এ জন্য আমরা ব্রেইল পদ্ধতিতে বই তৈরি করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদেরও তাদের নিজেদের ভাষায় বই তৈরি করে দিচ্ছি। এ রকম ৫টি ভাষায় আমরা বই তৈরি করে দিয়েছি। যাতে তারা তাদের ভাষাটা ভুলে না যায়।
সরকার প্রধান আরও জানান, শীতের পর করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে, তাই তখন অনলাইন শিক্ষার উপকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন বই উৎসব করার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর তা হচ্ছে না। তবে বছরের প্রথমদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এবার প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপানো হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিকে ১০ কোটি, মাধ্যমিকে ২৫ কোটি।