বছরের প্রথমদিন নতুন বই বিতরণকে ঘিরে চট্টগ্রামের প্রতিটি স্কুলেই সকাল থেকে ছিল উৎসবের আমেজ। বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে যায় শিক্ষক-অভিভাবকদেরও। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে ১২ দিনে এসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
রাজশাহীর স্কুলগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন বই বিতরণ। করোনার কারণে উৎসব করা হচ্ছে না। বই বিতরণ হচ্ছে ক্লাসরুমে। চলবে ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত। শিক্ষকরা জানান, পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থী বই পাবে।
জানা গেছে, এ বছর জেলার ৩ লাখ ২০ হাজার ৭০ জন মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫০ লাখ। এরমধ্যে মাধ্যমিকে ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৯৩০ টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে সাড়ে ১৯ লাখ বই। দাখিলের ৬ লাখ ১০ হাজার ৮৯৫টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯৮টি বই। এছাড়া এবতেদায়ীর ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪০টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে ৯২ হাজার বই।
এদিকে, নতুন বই হাতে পেয়ে খুশি সিলেটের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও। সরকারি কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্বোধন করা হয় বই উৎসবের। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় স্বল্প আনুষ্ঠানিকতায় শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বছরের প্রথম দিনে ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন একটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তারা।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৮ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬১ হাজার ৬০৮টি নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া, বগুড়া জিলা স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় বই উৎসবের।
তাছাড়া, বছরের প্রথম দিনে দেশের সব জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় নতুন বই।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩০টি, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮০টি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪টিসহ মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক-পঠন-পাঠন সামগ্রীর মধ্যে আমার বই এবং অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হবে যথাক্রমে ৩৩ লাখ ২ হাজার ৭৪০টি। একদিনেই সব বই দেয়া সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী পাবে এ বই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে এবার ১৩ দিনব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম। সেই হিসাবে ১৩ই জানুয়ারি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শেষ বই বিতরণ।