আমতলী প্রতিনিধি।
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় ৫ জেলে আহত ও এক জেলে নিখোজ রয়েছে। আহত জেলে হাফেজ হাওলাদার, খোকন হাওলাদার ও মোরসালিনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরের বলেশ^র মোহনায়।
জানাগেছে, বঙ্গোপসাগরের বলেশ^র মোহনায় তালতলী উপজেলার হাফেজ হাওলাদার ও ইব্রাহিম মিয়া দুটি ট্রলার মাছ শিকারে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ট্রলার দুটিতে জলদস্যুরা হামলা চালায়। জলদস্যুদের হামলায় হাফেজ হাওলাদারসহ ৫ জেলে আহত এবং জাকারিয়া নামক এক জেলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে। ওই ট্রলারে থাকা তিন লক্ষ টাকার জাল ও মাছ জলদস্যূরা নিয়ে যায় বলে জানান হাফেজ হাওলাদার। আহত তিন জেলে হাফেজ হাওলাদার, খোকন হাওলাদার ও মোরসালিনকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোজ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপর দিকে ইব্রাহিম মিয়ার ট্রলারে থাকা ৫ জেলেসহ ট্রলারটি জলদস্যূরা নিয়ে যায়। ওই ট্রলারটি জলদস্যুরা শনিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলার হরিণবাড়িয়া খালে ফেলে রেখে চলে যায়। কিন্তু ট্রলারে থাকা আড়াই লক্ষ টাকার জাল নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
আহত জেলে হাফেজ হাওলাদার বলেন,দুইটি ট্রলার নিয়ে ২০-২২ জনের জলদস্যু বাহিনী এসে আমার ট্রলারে হামলা চালায়। তাদের হামলায় পাঁচ জেলে আহত হয়েছে এবং এক জেলে সাগরে পড়ে নিখোজ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ট্রলারে থাকা তিন লক্ষ টাকার জাল জলদস্যুরা নিয়ে গেছে।
ট্রলার মালিক মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, জলদস্যুরা ট্রলারে উঠে আমাদের ইঞ্জিনের কক্ষে আটকে ফেলে আলো বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলার হরিণবাড়িয়া খালে আমাদের রেখে জলদস্যুরা চলে গেছে। তিনি আরো বলেন, জলদস্যুরা আমার ট্রলারে থাকা আড়াই লক্ষ টাকার জাল নিয়ে যায়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন বিশ^াস বলেন, আহত তিন জেলেকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
তালতলীর নিদ্রা-সোকিনা কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট অফিসার সাজু মন্ডল বলেন, এ ঘটনার পরপর সাগরে টহল জোরদার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই জলদস্যু বাহিনীদের গ্রেফতারে সক্ষম হবো।