বরগুনায় বাস শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনায় জেলার অভ্যন্তরে সকল সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বরগুনা-বেতাগী সড়কে শিকদার বাড়ি নাম স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অটোগাড়ির চালকরা দুইটি বাস ভাংচুর করে এবং এক বাসের মালিক-শ্রমিকদের মারধর করে।
বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার অভ্যন্তরে অটোরিকশা, নছিমন, মাহিন্দ্রা চলাচল বন্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের কাছে বাসমালিকদের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধে আবেদন করে। প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে এসব সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকালে বরগুনা-বেতাগী সড়কে শিকদার বাড়ি নাম স্থানে মাহেন্দ্র, ইজিবাইকের চালকরা সেখানে জড়ো হন।
এসময় বাস মালিক বাহাদুরসহ বাসশ্রমিকরা জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অটোরিকসা চালক সজিব, লিটন, জসীমসহ অনান্য শ্রমিকদের নেতৃত্ব তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় ফাহিম ও রাফি গাড়ি ভাংচুর করে। তাদের হামলায় বাস মালিক বাহাদুর, বাসশ্রমিক শিপন, সেলিম, আলআমিন, বাস চালক সজিব, রেজাউল আহত হয়। এ হামলার পর থেকেই বাস মালিকরা সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটের বাসচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরগুনা জেলার সকল সড়কে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্র, অটোরিকসা, ইজিবাইক অননুমোদিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তবে এসব সড়কে বর্তমানে মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্র, অটোরিকসা, ইজিবাইক চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাস মালিক বাহাদুর বলেন, আমি বাড়িতে অবস্থান করছিলাম, এমন সময় সমিতি থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয় সিকদার বাড়ির সামনে স্থানীয় অটোরিকসা চালকরা বাস আটকে দিয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। এসময় তারা দুইটি বাস ভাঙচুর করে।
বরগুনা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বাস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।