বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চরআইচা গ্রামে প্রবেশ করে ইউপি সদস্য সাইদুল আলম লিটনের উপর হামলা ও ঘর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই মামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইউপি সদস্য লিটনের স্ত্রী লুৎফর নাহার কাজল। মামলায় মঙ্গলবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ও তার স্বামী সোহাগ হাসানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুল আলম লিটন ও স্থানীয় যুবক জাহিদ হোসেন জয় সহ তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা লিটন ও জয়ের ঘর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। লিটনের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ওই ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান সহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক আল ফয়সাল আগামী ১০ দিনের মধ্যে বন্দর থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আতিকুর রহমান জুয়েল। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামী সোহাগ হাসানের নামে ঝালকাঠি ও বন্দর থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আসামীকে কেউ অন্যায় কাজে বাঁধা দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় যুবক জয়কে সোহাগ তার দলীয় লোকজন নিয়ে বেধরক মারধর করে। বাদীর স্বামী ইউপি সদস্য লিটন সোহাগকে বাঁধা দিতে গেলে আসামী সোহাগ তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে লিটনের মাথায় আঘাত করে। লিটন জীবন বাঁচাতে নিজের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সোহাগ তার দল বল নিয়ে লিটনের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। সোহাগ বাদীর আলমিরা ভেঙে নগদ দুই লক্ষ টাকা চুরি করে নেয়। এছাড়া ৫ ভরি স্বর্নালঙ্কারও নিয়ে যায় সে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।