বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

আন্দোলন ও আইনী পদক্ষেপের হুশিয়ারী বরিশালে পদোন্নতি বঞ্চিত অর্ধশত কলেজ শিক্ষকের

আন্দোলন ও আইনী পদক্ষেপের হুশিয়ারী বরিশালে পদোন্নতি বঞ্চিত অর্ধশত কলেজ শিক্ষকের

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে অর্ধশত কলেজ শিক্ষকের কাংখিত পদোন্নতি আটকে গেছে। কম্পিউটার শিক্ষা (আইসিটি) বিষয়ের এ প্রভাষকরা ১৬ বছর ধরে চাকরি করেও সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হতে পারছেন না। শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের (মাউশি) কর্মকর্তাদের সেচ্ছাচারিতায় আটকে গেছে তাদের পদোন্নতি। অথচ একই সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের কোন কোন শিক্ষকের পদোন্নতি হয়েছে। এ অবস্থার অবসান চেয়ে পদোন্নিত বঞ্চিত শিক্ষকরা গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বরিশাল বিভাগীয় কম্পিউটার শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর বাকশিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহবায়ক আগরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান। লিখিত বক্তব্য প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বলেন, বরিশাল বিভাগের তার মত ৫০জন কম্পিউটার শিক্ষা (আইসিটি) বিষয়ক প্রভাষক আছেন যারা ১৬ থেকে ২০ বছর চাকরী করে এখন সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত করবেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী প্রভাষক পদ থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নীতর জন্য তারা মাউশি’র মহাপরিচালক বরারবর আবেদন করেন। কিন্তু দুভার্গ্যজনক হচ্ছে- মাউশি বরিশাল অঞ্চলের পরিচালকের কার্যালয় ১৯৯১ সালের একটি চিঠির বরাত দিয়ে ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। বাকিদেরও একই অযুহাতের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে। অথচ ইতোমধ্যে তাদের সম যোগ্যতার একাথিক প্রভাষক সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতী পেয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০০০ সালের ৩১ আগস্টের নীতিমালা অনুযায়ী কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তারা এই ৫০ জন শিক্ষক প্রভাষক হিসেবে বিভিন্ন কলেজে কর্মরত। সংবাদ সম্মেলনে প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বলেন, মাউশি বরিশাল অঞ্চলের সেচ্ছাচারিতার কারনে তারা পদোন্নতী বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রনালয় সচিব ও মাউশি মহাপরিচালককে লিখিত অবহিত করবেন। অবিলম্বে এই ৫০ জন শিক্ষককে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতী না দেয়া হলে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার হুশিয়ারী জানিয়েছেন শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য ফ্রন্ট বরিশাল বিভাগীয় আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল জানান, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশি নানাভাবে শিক্ষকদের হয়রানী করছে। এই শিক্ষকরা ১৬ বছর ধরে চাকরি করে এখন নানা অযুহাতে পদোন্নতী আটকে দিয়েছে। এভাবে হয়রানী করলে আন্দোলন ও আইনী যুদ্ধে নামবে বরিশালের শিক্ষকরা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কম্পিউটার শিক্ষক সমিতির যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ বজলুল হক কলেজের প্রভাষক খোকন রায়, ইসলামিয়া কলেজের প্রভাষক সুলতানা পারভিন, মুলাদীর চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রী কলেজের আনিচুর রহমান, আগৈলঝাড়ার ছয়গ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের ছয়গ্রাম স্কুল এন্ড কলেজের মুন্সি আ: আলিম প্রমূখ।
এব্যপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের (মাউশি) পরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৯৯ সালের ২৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রালয়ের এক চিঠি অনুযায়ী নির্দিস্ট ৬টি বিষয়ের বাহিরের শিক্ষকরা পদোন্নতী পাবেন না। তিনি ২০০ সালের ৩১ আগস্টের নীতিমালাও দেখেছেন, কিন্তু তা গ্রহন করা যাবে না। তিনি বলেন, জটিলতায় পড়া শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ের ওই চিঠি বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করতে পারলে তারা পদোন্নতী পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech