বুধবার জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। এদিন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতির আগে থেকেই টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় তার সরকার। দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ই জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনার টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। সারা বিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশ (এনআইটিএজি, বি) এর সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ হতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে।