স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল নগরীর চিহ্নিত মিডিয়া সন্ত্রাসী কর্তৃক দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন আকিব মাহমুদ শুভ। মামলা দায়েরের প্রায় ২ বছর পর বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে সম্প্রতি অব্যহতি পান তিনি। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী আকিব মাহমুদ শুভ ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামী দায়ের করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন বরিশাল নগরীর এক আবাসিক হোটেল মালিক। পুলিশি তদন্ত, সিআইডি তদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্টসহ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন কোতয়ালী মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর রুম্মান। আদালত পুলিশি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তদন্তে পাওয়া আসামী এইচ এম হেলালকে ওর মোঃ হেলাল উদ্দিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং একইসাথে আকিব মাহমুদ শুভকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী আকিব মাহমুদ বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছি, এই সংবাদ আমার জন্য স্বস্তির শান্তির। এই পুরো সময়টা জুড়ে কতখানি মানসিক যন্ত্রনা ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি সেই খবর শুধু আমিই জানি। এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী কতিপয় ভিন্ন পেশার মানুষ এই হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা করেন। একটা পর্যায়ে মামলা তুলে নিবে বলে বড় অংকের টাকা চাঁদা দাবী করেন। দিনের পর দিন তারা এভাবে হয়রানী করে গিয়েছে। আমি আমার কাছে থাকা সমস্ত তথ্য, প্রমান পুলিশের কাছে উপস্থাপন করি এবং পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে এই রিপোর্ট পেশ করায় আমি সত্যিই খুব খুশি। এসময় তিনি তার দুঃসময়ে পাশে থাকা সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক শাহনামার বার্তা সম্পাদক মোকলেসুর রাহমান মনি বলেন, বরিশাল নগরীতে একটা চক্র তৈরি হয়েছে যারা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে, মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে। এমন সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সমাজের সকল স্তরের মানুষের। সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় কিছু কুচক্রি লোক ঢুকে পরেছে তাদের রুখে দিতে হবে, কেউ যেন অপসাংবাদিকতা করতে না পারে তার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছেও দাবী জানান তিনি।