বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠনের এই আইন পাশ হয়।
এর আগে, ১১তম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সংশোধীত বিলটি বিবেচনার জন্য তোলা হয়। এসময়, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে বিলটি পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন সংসদের বিরোধী দল ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা। পরে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় জাতীয় সংসদে।
এর আগে, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে বিলটি পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলেন, তাড়াহুড়া করে এই আইন পাশ করা আইওয়াশ। এতে সার্চ কমিটি থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন গঠন পর্যন্ত সবই হবে সরকারের পছন্দমতো। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তড়িঘড়ি করে নয়, এটি পাশ হলে আন্দোলন সৃষ্টির সুযোগ থাকবেনা তাই এই আইন নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে। এই আইনে ইনডেমনিটি নয়, লিগ্যাল কাভারেজ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংবিধানে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলা থাকলেও স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই আইন করার উদ্যোগ নেয়নি। সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন ফোরাম থেকে আইনটি প্রণয়নের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনেরাও ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।
এছাড়া, নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ গত বছরের ২০শে ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত যেই ২৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, তাতেও বেশির ভাগ দল আইন করার তাগিদ দিয়েছিল।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হয়। এর আগে গত ১৭ই জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।