নিউজ ডেস্ক:
নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা আসছে। বুধবার বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর বুধবার বিকেলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি হতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যমান এমপিও নীতিমালায় ‘যোগ্য’ বিবেচিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এবার বাদ দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিবেচনা ও অন্য কোনো তদবিরে নয়; শতভাগ নীতিমালা অনুসরণ করে, নিয়মনীতির ভিত্তিতে এমপিওভুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এবার সারাদেশের মোট দুই হাজার ৭৩০টি স্কুল ও কলেজ এ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে মাদ্রাসা ৫৫৭টি, ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ১৭৭টি, কৃষিপ্রতিষ্ঠান ৬২টি এবং এইচএসসি বিএম (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) প্রতিষ্ঠান ২৮৩টি। আর্থিক সংকটের কারণে শেষের ২৮৩টি প্রথমে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে অর্থের ব্যবস্থা করে বিএম প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এমপিওভুক্তির তালিকায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে যে ১ হাজার ৬৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৮০টি। আর স্তর পরিবর্তন (নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক, মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডিগ্রি স্তরে উন্নীত হওয়া) প্রতিষ্ঠান ৯৭১টি। নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক ৪৩৯টি, মাধ্যমিক ১৪৬টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২টি এবং কলেজ ৯৩টি। অন্যদিকে, স্তর পরিবর্তনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত ৯৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক ৮৪৯টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৬টি এবং কলেজ ৫৬টি।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি সব নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই প্রাথমিকভাবে আগামী তিন বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি স্থগিত হয়ে যাবে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৮৬৫ কোটি টাকা। ১ হাজার ৬৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে তাতে ব্যয় হবে ৭৯৬ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। বাকি ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ের হাতে উদ্বৃত্ত থাকবে।