১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিঃ সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকায় এয়ারপোর্ট থানা বিএমপি কর্তৃক “ওপেন হাউজ ডে ” অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ওপেন হাউজ ডে’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ কমিশনার বিএমপি (অতিরিক্ত আইজিপি) মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার।
নির্ভেজাল সেবা নিশ্চিত করতে সেবাগ্রহীতা ও সেবাদানকারী চ্যলেঞ্জ ও সাহস করে
মুখোমুখি এই ওপেন হাউজ ডেতে এসে থাকি
প্রতিমাসের ০৪ তারিখ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা , ০৭ তারিখ কাউনিয়া থানা , ১০ তারিখ এয়াপোর্ট থানা ও ১৩ তারিখ কোতয়ালী মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয় । পুলিশ কমিশনার সহ শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি থানায় গিয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে,জনসাধারনের কথা শুনেন।থানা এলাকার সাধারণ মানুষও এই ওপেন হাউজ ডে’র দিন উপস্থিত থাকেন। মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয় এই ওপেন হাউজ ডে সফল করার জন্য সকলের সুদৃষ্টি ও আন্তরিকতা কামনা করেন।
শুরুতেই সভার সভাপতি এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব কমলেশ চন্দ্র হালদার এর নেতৃত্বে গার্ড সালামি ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর প্রধান অতিথি বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়ায়
পর্যায়ক্রমে জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ফুলেল শুভেচ্ছায় ভূষিত সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত প্রধান অতিথি সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও যেই মাসে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা বিজ রোপিত হয়েছিল সেটি ভাষা’র মাসে ৫২’র ভাষা-আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বিগত ওপেন হাউজ ডে সভার কার্যবিবরণী তথা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আগত ভুক্তভোগীর কথা সরাসরি শুনে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য পুলিশিং মানেই প্রোএক্টিভ পুলিশিং যা জনগণ ও পুলিশের মধ্যে একপ্রকার অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পুলিশিং।মা মাটি মানুষের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও নির্দেশনায় সেই পুলিশিং বাস্তবায়নে আজ আমরা বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে, স্কুল ভিজিটিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন কোন অলিক কল্পনা নয়, আমরা যদি সোনার মানুষে পরিণত হতে পারি, সোনার বাংলা বেশি দূরে নয়। আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত দৃষ্টিতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করলে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে রুপান্তর হবে।
তিনি আরও বলেন, যোগ্যতা থাকলেই সবকিছু অর্জন সম্ভব হয় না। জনগণের আস্থা ভালোবাসা ও দোয়া প্রয়োজন, তাই এই অর্জনে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।জনমুখী পুলিশিং চরিত্রে ফিরে আসতে যতখানি নির্ভেজাল দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা প্রয়োজন ততটুকু অর্জন করার জন্য এই জনপদের সাধারণ মানুষের ভূমিকা ও সম্পৃক্ততা অপরিসীম।
অপরাধ করলে দৃষ্টান্তমুলক পানিশমেন্ট এর পাশাপাশি অপরাধ দানাবাঁধার আগেই, অপরাধী তৈরি হওয়ার আগেই পাড়া মহল্লা থেকে সজাগ থেকে পুলিশ জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।এভাবে প্রোএক্টিভ পুলিশিং এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা নির্মাণ করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। তাই আমাদের সকল আহ্বানে সারা দিয়ে সবাই এগিয়ে এলেই এদেশ উন্নত বিশ্বের অন্যতম দেশে রুপান্তর সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম এন্ড অপস বিএমপি এনামুল হক বলেন, পুলিশ কমিশনার জনগণকে সম্পৃক্ত করে কাজের যে মন্ত্রমুগ্ধতা তৈরি করেছেন এর সুফল স্যার চলে গেলেও এলাকার জনগণ পাবেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর ও ট্রাফিক বিএমপি এসএম তানভীর আরাফাত বিপিএম-বার বলেন, দেশের অভুতপূর্ব উন্নতির কারণ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি। এই শৃঙ্খলার সমুন্নত রাখতে এই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে আমাদের পাশে থাকুন, বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের সেবায় সদা জাগ্রত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,এয়ারপোর্ট থানার অন্যান্য অফিসারবৃন্দ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধি ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ।