রাজাপুর প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরের ৪৫ নং গালুয়া দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতল নির্মানাধীন ভবনের নির্মান কাজ অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে অভিযোগে জানা গেছে, ঠিকদার নিম্নমানের সামগ্রী ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি দ্বিতল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে যথা সময়ে বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ১৬ দিন ধরে নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় রডসহ অন্যান্য উপকরনে মরিচা দেখা দিচ্ছে।
৪৫ নং গালুয়া দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিন খান ও ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি জাকির হোসেন অভিযোগ করে জানান, এলজিইডির অর্থায়নে ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদাস ২০২০ সালের মে মাসে নির্মান কাজ শুরু করে এবং গত ২৯ জানুয়ারি দ্বিতল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে তারে কাজের মান নিয়ে সন্দেহ হলে বিষয়টি বরিশাল এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে বরিশাল এলজিইডির নির্বাহি প্রকৌশলী জাকারিয়া মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে দেখেন ৮ মিলি, ৪ মিলি ও নূরি পাথর দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে নিম্নমানের বড় পাথর ও ২০ মিলি রডের পরিবর্তে ১৬ মিলি এবং ১২ মিলির পরিবর্তে ১০ মিলি দিয়ে ৬ ইঞ্চি ফাকা রাখার কথা থাকলেও সাড়ে ৮ ইঞ্চি দিয়ে ঢালায়ের প্রসুÍতি নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাই তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদার শিমুল হোসেন জানান, যথাযথ নিয়মনানুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে পাথর, রড ও কাঠের কিছু সমস্যার বিষয়ের কর্তৃপপক্ষ জানালে তা পরিবতর্ন ও সকল সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত কারনে কিছুদিন কাজ বন্ধ রয়েছে। খুব দ্রুতই যথাযথভাবে কাজ শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজে সামান্য কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে তা ঠিকাদার সমাধান করেছে। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এখন তাদের অনুমতি পেলে দ্রুতই কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এলজিইডির বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল হুদা জানান, মূলত ছাদ ঢালাইয়ের সময় কোন প্রকৌশলী উপস্তিত না থাকার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরে বরিশালের নির্বাহি প্রকৌশলী জাকারিয়া ওই স্কুলে যান এবং পাথর ও রডের কিছু অনিয়ম ধরা পড়ায় কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। যথাযথভাব নিয়মে ভবন নির্মান করার সম্পন্ন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।