শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করন, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ ৮ দফা দাবি আদালয়ের লক্ষে বরিশালে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) বরিশাল জেলা কমিটি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে মানববন্ধন করে তারা।
মানববন্ধনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্বাশিপ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশিদ, মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মোঃ মোকলেসুুর রাহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম, কর্নকাঠি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন সহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় ৯৮ ভাগ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষক কর্মচারীরা অনেক বৈষশ্যের শিকার। বেসরকারি শিক্ষক গন মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং মাত্র ২৫ ভাগ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। যা আমাদের জন্য খুবই অপ্রতুল ও অসন্মানজনক।
পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাতিত হস্তক্ষেপ ও নিপূড়ন শিক্ষার মানউন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধক।
বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক মুজিব জন্ম বর্ষকে চির স্মরনীয় করে রাখতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীযকরনে ঘোষনা শুনতে সমগ্র জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এসময় তারা ঈদের পূর্বেই বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
বেসরকারী কলেজে কর্মরত অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকেরা ২৯ বছর যাবত বেতন বঞ্চিত, তাদেরকে দ্রুত এমপিওভুক্তির দাবী জানান।
মানববন্ধনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) নেতৃবৃন্দরা, অবিলম্বে সার্বজনীন বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, ঈদের পূর্বেই উৎসব ভাতা প্রদান এবং সরকারি অনুরুপ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ। এমপিওভুক্ত কলেজে কর্মরত অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করন। সরকারি সকল শর্ত পূরন করে স্বাীকৃতি প্রাপ্ত সকল স্কুল কলেজ মাদরাসা ও কারিগরী প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্তির ব্যবস্থা করা সহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দরা নগরের সদর রোডে মিছিল করে বরিশালের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।