আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
প্রতিবেশী তানিয়া বেগমের ঋণের মামলায় শিরিন বেগম (৪০) নামের এক নারী শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুুধবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার নজরুলের স্ত্রী তানিয়া বেগম প্রতারনা করে ২০০৭ সালে সৈকত নামের একটি বে-সরকারী এনজিও থেকে প্রতিবেশী নজরুল আকনের স্ত্রী শিরিন বেগমের নামে ৭ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ওই টাকা তিনি গত ১৫ বছরে পরিশোধ করেনি। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে এনজিও কর্মী সুমিতা রানী বাদী হয়ে শিরিন বেগমের নামে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানী জাড়ি করে আদালত। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শিরিনকে তার বাড়ী থেকে আটক করে। শিরিনকে আটকের পর বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য। মামলার বাদী সুমিতা রানী দাবী করেন পুলিশের ধৃত শিরিন তার মামলার আসামী নয়। ঋণ নেয়ার সময় শিরিনের নাম ব্যবহার করলেও বাস্তবে ঋণ গ্রহন করেছেন তানিয়া বেগম। তানিয়ার প্রতারনার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শিরিনের স্বামী নজরুল আকন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী শিরিন বেগম ওই এনজিও থেকে ঋণ গ্রহন করেনি। তার নামের সাথে তানিয়ার স্বামীর নাম মিল থাকায় তার স্ত্রীর (শিরিন) নাম ব্যবহার করে তানিয়া ঋণ নিয়েছে। বুধবার পুলিশ শিরিনকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে।
ধৃত শিরিন বেগমের স্বামী মোঃ নজরুল আকন বলেন, ঋণ গৃহিতা তানিয়ার স্বামীর নাম আর আমার নাম একই হওয়ায় সুযোগে তানিয়া প্রতারনা করে আমার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছে। তার ঋণের মামলায় আমার স্ত্রী শিরিন বেগমকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঋণ ও মামলার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। অন্যের মামলায় আমার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
মামলার বাদী সৈকত এনজিও কর্মী সুমিতা রানী বলেন, ২০০৭ সালে তানিয়া প্রতারনা করে শিরিনের নাম দিয়ে ৭ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ওই ঋণের টাকা তিনি আর পরিশোধ করেনি। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছি। তিনি আরো বলেন, পুলিশ আটকের পর জানতে পারলাম তানিয়ার দেয়া ছবির সাথে শিরিনের কোন মিল নেই। শিরিন আমার মামলার আসামী হলেও বাস্তবে ঋণ নিয়েছে তানিয়া।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা অনুসারে শিরিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।