এছাড়া প্রায় ৫০ জন রাশিয়ান সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার স্থল বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা দেয় কিয়েভ।
এছাড়া রাশিয়ার আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের আর্মি জেনারেল স্টাফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনের আর্মি জেনারেল স্টাফ টুইটারে বলেন, ‘শচস্তিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ৫০ দখলদার সেনা নিহত হয়েছে। ক্রামাতোরস্কে আরও একটি রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে।’
এ নিয়ে ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে টুইটারে দাবি করা হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ইউক্রেনের দাবি, দেশটির পূর্বাঞ্চলে অর্ধশত রুশ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আক্রমণকারীদের চারটি ট্যাংক ও ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরের কাছে গুলির শব্দও শোনা গেছে।
এদিকে, অর্ধশত রুশ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আক্রমণকারীদের চারটি ট্যাংক ও ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
অবশ্য রাশিয়া এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেন বলছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশে করেছে রুশ সেনারা।
কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত ইউনিট, সীমান্ত টহল এবং চেকপয়েন্টগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।