রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য এটা সর্বোচ্চ সতর্কতা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, আপনারা দেখছেন ন্যাটোর নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
এদিকে, দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, পশ্চিমা দেশগুলি আমাদের বিরুদ্ধে ‘অবন্ধুসূলভ পদক্ষেপ’ গ্রহণ করছে। এমনকি ‘অবৈধ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করছে। আমরা তাদের এই সকল কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শিগগিরই পদক্ষেপ নেব।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের আদেশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিবিএস নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস বলেছেন, রাশিয়ার এমন ঘোষণা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
লিন্ডা থমাস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের এমন ঘোষণা চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে আরও উত্তেজনা তৈরি করবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়, এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তার এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, রাশিয়া কোনো সময়ই ন্যাটোর হুমকির মুখে পড়েনি। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ‘বিশেষ সতর্ক’ থাকার ঘোষণা প্রেসিডেন্ট পুতিনের একটি পরিচিত প্রতিক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাকে বারবার এই কাজ করতে দেখেছি। রাশিয়া কোনোভাবেই ন্যাটোর হুমকির মুখে পড়েনি। আমরা তার এমন ঘোষণার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিব। আমাদের আত্মরক্ষা করার ক্ষমতা আছে।
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পুতিনের পরমাণু সতর্কবার্তা ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। স্বাধীন, সার্বভৌম একটি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পুতিনের এমন ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিবে।
এমন ঘোষণাকে পশ্চিমাদের রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ক্ষোভ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ন্যাটোর সামরিক পরিকল্পনাকারীরা ঠিক একারণেই রুশ আক্রমণ প্রতিহত করা জন্য ইউক্রেনে সেনা না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল।