গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কৃষিজমি নষ্ট করে ইট তৈরী ও জালানী হিসেবে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর বাউরগাতি গ্রামের লাইসেন্স বিহিন এস.এস.এম ইট ভাটার মালিককে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার উত্তর বাউরগাতি গ্রামের লাইসেন্স বিহিন ইট ভাটা এস.এস.এম ইট ভাটায় কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কৃষিজমি নষ্ট করে ইট তৈরী করা হচ্ছিল ও জালানী হিসেবে ওই ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছিল। গোপন সূত্রে এ খবর জানতে পেরে গৌরনদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্সের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ওই ভাটায় অভিযান চালায়। এ সময় আদালতের সামনে ঘটনা প্রমানিত হলে আদালত ইটভাটার মালিক মোঃ মামুন খানকে কৃষিজমি নষ্ট করে ইট তৈরীর দায়ে ৬০ হাজার টাকা ও জালানী হিসেবে কাঠ ব্যাবহারের দায়ে ৫০ হাজার টাকা মিলে সর্বমোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে ২১দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। আদালত পরিচালনায় সহয়তা করেন গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ অহিদুর রহমান, গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ও গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মকর্তা ও সদস্যগন।
অভিযানের সত্যতা গৌরনদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, অভিযানকালে আদালত দেখতে পায় যে, ভাটাটির কোন লাইসেন্স নেই। ভাটার মালিক কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কৃষিজমি নষ্ট করে ইট তৈরী করছেন ও জালানী হিসেবে তার ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় মালিক আদালতকে জানান, তিনি লাইসেন্স করতে দিয়েছেন, শিঘ্রই লাইসেন্সটি হাতে পাবেন। ফলে আদালত তাকে আগামী দেড় মাসের মধ্যে লাইসেন্স করার সময়সীমা বেধে দেয়।