আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
মির্জাগঞ্জ দরবারে যাওয়া হলো না মা ও ছেলের। পিকআপের চাপায় পিষ্ট হয়ে মা নুরুন্নাহার বেগম (৪০) ও ছেলে মোঃ রাকির (১৬) লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ীতে। পুলিশ পিকআপ চালক মোঃ নুর আলমকে (৩৩) আটক ও পিকআপ জব্দ করেছে। ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহা সড়কের পশ্চিম চুনাখালী এলাকায় সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী নুরুন্নাহার ও ছেলে রাকিব মির্জাগঞ্জ দরবারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এ সময় তার ভাই সিদ্দিক পাহলানকে বলতে তার বাড়ীতে হেটে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পশ্চিম চুনাখালী এলাকায় পিকআপ (চট্টমেট্রো-ন-১১-৯০৬৩) একটি মালবাহী ট্রাককে সাইট দিতে গিয়ে পথচারী মা নুরুন্নাহার বেগম ও ছেলে রাকিবকে চাপা দেয়। পিকআপের চাপায় মা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পিকআপ চালক মোঃ নুর আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক এবং পিকআপটি জব্দ করেছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় সড়ক নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঘাতক পিকআপ চালকের বাড়ী নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার মাউশচারা গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ নুর আহম্মেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, পিকআপ একটি মালবাহী ট্রাককে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী মা ও ছেলেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হয়েছে।
নিহত নুরুন্নাহারের চাচা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ভাই সিদ্দিক পাহলানের কাছে বলতে তার বাড়ীতে যাওয়ার পথে পিকআপের চাপায় পিষ্ট হয়ে আমার ভাতিজি ও নাতি নিহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তন্ময় রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সড়ক নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। চালক মোঃ নুর আলমকে গ্রেফতার এবং পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।