আজ মঙ্গলবার দু’দিনব্যাপী এই আলোচনা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্সিয়াল দোলমাবাহচ অফিসে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়। এর আগে সোমবার দুই দেশের আলোচকরা তুরস্কে পৌঁছান।
মেডিসঙ্কি বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে পাওয়া প্রস্তাব এখন বিবেচনার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সংঘাত বন্ধে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তিতে সম্মত হলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের সম্ভাব্যতা তৈরি হবে।
এর আগে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে যাওয়া প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। আলোচনার টেবিলে কোনও কিছু খাওয়া, পান করা এবং বিশেষ করে কোনও কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বৈঠকের আগেই জানা গিয়েছিল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক কার্যকলাপ হ্রাস করার আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। দু’দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর এটি প্রথম পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। মস্কো এটিকে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্তকরণের বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে বলে আসছে। কিন্তু ইউক্রেন ও পশ্চিমারা এটিকে উসকানি ছাড়াই পুতিনের আগ্রাসী যুদ্ধ বলে দাবি করছে।