সভায় সভাপতিত্ব করেন, পুলিশ কমিশনার বিএমপি অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার।
সভার শুরুতেই সভাপতি মহোদয় পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএমপি’র সকল সদস্যদের বিবিধ কল্যাণ সাধনে বিগত মাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও চলতি মাসের বিভিন্ন সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের কল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ভালো অর্জনগুলো অফিসিয়াল পেজে প্রচার করার গুরুত্বআরোপ করে তিনি বলেন, আঁধারের সুন্দর হাসি যেমন কেউ দেখেনা, তেমনি ভালো কাজগুলো প্রচার না করলে তা কেউ জানবে না।
শৃঙ্খলা আমাদের শক্তি, চেইন অব কমান্ড অবশ্যই পালনীয়, কারো বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পেলে যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং সবাইকে সতর্ক থেকে
শৃঙ্খলার সাথে সবকিছু মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
তৎপরতা বাড়াতে হবে, কোন একজন সদস্যের অপরিনামদর্শী আচরণে জন্য যেন তা ক্ষুন্ন না হয়।
সরকারি মালামালের সঠিক ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সরকারি মালামাল জনগণের মালামাল, যত্নসহকারে এগুলোর ব্যবহার করতে হবে।
নির্ভেজাল আইন প্রয়োগ করে অপরাধ দমন ও নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশিং সভা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, ওপেন হাউজ ডে, বিট পুলিশিং কার্যক্রম সহ
নানামুখি প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভাপতি মহোদয় আরও বলেন, আমরা যে পজেটিভ, নির্ভেজাল, প্রযুক্তিগত পুলিশিংয়ে সর্বাগ্রে এগিয়ে আছি, এই অবস্থান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আমাদের সকল কার্যক্রম জোরদারে আরও তৎপর হওয়ার পাশাপাশি
জনগণের সাথে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার মাধ্যমে বিএমপিকে বাংলাদেশ পুলিশের লিডিং ইউনিট হিসেবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কল্যাণ সভা শেষে পিআরএল গমনেচ্ছুক বিদায়ী সহকর্মীদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান ও ভালো কাজ এবং বিভিন্ন আভিযানিক কাজের সফলতার জন্য বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।