‘ডেলটাক্রন’, ‘ওমিক্রন’, ‘নিওকোভ’-এর পর এবার পাওয়া গেল নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘এক্সই’র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ধারণা করছে—করোনার এ নতুন ধরনটি ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ উপপ্রজাতির চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা—ওমিক্রনের ‘বিএ.১’ ও ‘বিএ.২’ সাব-ভ্যারিয়্যন্টের সংমিশ্রণের ফলে ‘এক্সই’ ধরনের উৎপত্তি।
এনডিটিভি জানায়, ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলেছেন, গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে প্রথম এই ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়। এখন পর্যন্ত ৬৩৭ জনের শরীরে ‘এক্সই’ ধরন শনাক্ত হয়েছে।সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও নতুন ধরনটির মারণ ক্ষমতা কম বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ সাব-ভ্যারিয়্যান্টটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সংক্রমণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ভাইরাসটি দায়ী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
তবে ইতিমধ্যে ওমিক্রনের উপধরন বিএ.২ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির ৪৯ লাখ মানুষের শরীরে এর উপস্থিতি পাওয়া যায় যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬ লাখেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে ও করোনার উপ ধরন বিএ.২ এর সংক্রমণ বেড়েছে। চীন মার্চে ১ লাখের ও বেশি আক্রান্ত শনাক্তের খবর প্রকাশ করেছে যার বেশির ভাগই সাংহাই এবং জিলিন প্রদেশে।
সম্প্রতি, হংকংয়ে শিশুদের ওপরে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে—নভেল করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরন এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়েও বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ‘বিএ.২’ সাব-ভ্যারিয়্যান্টটি। এর আগে পাওয়া ওমিক্রন ধরনের ‘বিএ.১’ সাব-ভ্যারিয়্যান্টটিও যথেষ্ট সংক্রামক ছিল।