শামীম আহমেদ ॥
বরিশাল নগরীর কারীমুল কোরান হাফিজিয়া রোকেয়া মাদ্রাসায় চলতি রমজান মাসে মহিলাদের তারাবি নামাজ আদায় করার সিদান্ত গ্রহন করার জেড় হিসাবে মাদ্রাসা কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমানের হাতে প্রিন্সিপাল মাও, আঃ লতিফ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অর্থ সম্পাদক মিজানের বিচারের দাবীতে রাতে মিছিল করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বিক্ষোভ শেষে হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিগতদিনে মাদ্রাসায় রমজান মাসে মহিলাদের জন্য তারাবি নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা ছিল। গত দুটি বছর করোনাকালীন সময়ে নামাজ বন্ধ রাখা হয়।
চলতি রমজান মাসে পুনরায় মাদ্রাসায় মহিলাদের জন্য তারাবি নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা সহ হাফেজ নিয়োগ করার বিষয়ে ১৮ই মার্চ এক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুপুস্থিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
হাফেজ রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, সভায় মিজানুরকে বেশ কয়েকবার সভা আয়োজন করার কথা তাকে জানানো হলেও তিনি আলোচনা সভায় আসেননি।
২ই এপ্রিল হঠাৎ করে মিজানুর এসে তাকে না জানিয়ে এধরনের সিদান্ত নেওয়ার বিরোধীতা করে পিন্সিপালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া সহ অনেকের সাথে খারাপ ও অশুভ আচরন করে চলে যান।
রবিবার পুনরায় অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান, আছর নামাজের পর শনিবারের ঘটনা নিয়ে সভাপতি আনিচুজ্জামান হিরু প্রিন্সিপাল আঃ লতিফ মল্লিকের গায়ে হাত দেয়া সহ দাড়ি টানাটানি করার অভিযোগ করেন।
এসময় প্রিন্সিপাল আঃ লতিফ মল্লিককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মাদ্রাসার মোতাল্লিম বাদশা ও আর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানের কথা কাটাকাটির এক প্রর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে।
পরবর্তী রাতে ধিরে ধিরে প্রিন্সিপালকে লতিফ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার সংবাদ প্রকাশ পেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তারাবি নামাজের পূর্বে কাউনিয়া ক্লাব রোড ও মেইনরোডে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তীতে কাউনিয়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রিন্সিপাল আঃ লতিফ মল্লিককে থানায় যেতে বলেছে একথা সত্বতা নিশ্চিত করেন প্রিন্সিপাল আঃ লতিফ মাহমুদ।
এবিষয়ে অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল লতিফ মল্লিক যে অভিযোগ করেছে তা আধো সঠিক নয়।
আমার সাথে যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম সবুজ ভাই সাথে ছিলেন, আমি বলেছি এখানে মহিলাদের তারাবি নামাজ পড়াবার বিষয়ে লিখিত নোটিশ বোর্ডে জানিয়ে সিদান্ত গ্রহন করা উচিত ছিল একথা বলতে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠে আমার উপর। পরে শুনেছি রাতে প্রিন্সিপাল কিছু ছাত্র ও টোকাইদের নিয়ে নাকি একটি মিছিল করেন ওখানে কোন অভিভাবকরা ছিলেন না।