বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাসা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ডিএনসি বরিশাল কার্যালয়ের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাসা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ডিএনসি বরিশাল কার্যালয়ের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

পটুয়াখালীর বাউফলের কালিশুরি ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধার মরহুম সোবেদার আওলাদ হোসেন সাজ্জালের পরিবারের বসতঘরে মাদক দৃব্য উদ্ধারের অভিযানের নামে ভাংচুর ও লুটপাট করা সহ মরহুম মুক্তিযোদ্ধার নাতিকে মারধর ও আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে বরিশাল বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ( ডিএনসি) ৮  কর্মকতার বিরুদ্ধে আজ পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাউফল আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সোবেদার আওলাদ হোসেন সাজ্জালের পুত্র আবদুল জলিল খোকন সাজ্জাল। মামলা নম্বর সি আর ২০১/২০২২ পটুয়াখালী। মামলার আসামীরা হলেন মাদক দৃব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ( ডিএনসি) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিদর্শক ইশতিয়াক হোসেন, সহকারী উপ পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, উপ পরিদর্শক খন্দকার জাফর আহমেদ, সহকারী উপ পরিদর্শক দিপংকর মন্ডল, সিপাহী আবদুল হামিদ, ইমাম হোসেন, মোঃ সবুর ও হেলাল উদ্দীন।
মামলার বাদী আবদুল জলিল খোকন সাজ্জাল আদালতে জমা দেয়া আবেদনে বলেন
 আমি  কালিশুরি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কবিরকাঠীর নিজ পৈত্রিক নিবাসে দুই পুত্র সন্তান নাঈম সাজ্জাল ও নাবিন সাজ্জাল, স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করেন  । তার পুত্র নাইম হোসেন সাজ্জাল পটুয়াখালী সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র এবং  নাবিন সাজ্জাল বাউফল সরকারি কলেজে লেখপড়া করে। নাবিন সাজ্জাল তার  ফুফুর বাড়িতে ১৫ দিন বেড়ানোর পরে গত ২ এপ্রিল সকালে বাড়িতে এসে  নিজ বাসভবনে ঘুমাচ্ছিলেন। সকাল ৯ ঘটিকায় হঠাৎ অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি বাসভবনের পিছনের দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে এবং নাবিন সাজ্জালকে মারধর শুরু করে। এসময় পিতা খোকন সাজ্জাল, তার স্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ স্ত্রী নাবিনকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি ভাবে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যাংক থেকে নির্মান কাজের জন্য তোলা, ছাগল বিক্রি, বাজার খরচ ও মাটির ব্যাংকে জমানো প্রায় ১৫৭০০০ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ন নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেয়। এরকিছু সময় পরে স্থানীয় একাধিক লোক ও বাড়িতে বসবাসকারীদের এসময় হামলাকারীরা নিজেদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন এবং নাবিন সাজ্জালকে আটক করে নিয়ে যায়।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জামাল হোসেন অভিযোগ তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্হা সিআইডিকে  নির্দেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech